জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে জমি খারিজের দায়ে জাল চক্রের সদস্য সৈয়দ নামের এক ব্যক্তি আটক হয়েছে। সে জীবননগর দলিল লেখক সমিতির একজন সদস্য। ঘটনায় তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। একই চক্রের মূল হোতা রমজানকে পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সম্পর্কে বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের আ. রবের ছেলে দিনমজুর শাহ আলম জানান, তিনি জমি খারিজ করার জন্য জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সদস্য শহিদুল ইসলাম সৈয়দ আলীর নিকট কাগজপত্র দেন। সে জীবননগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া খারিজের কাগজপত্র তৈরি করে দেন।
শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দ আলী জমি খারিজ বিষয়ে তার কাছ থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর সৈয়দ জমি খারিজের কাগজপত্র দিলে আমি কাগজপত্র চেক করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে যায়। কিন্তু অফিসে গিয়ে দেখি জমি খারিজ হয়নি। পরবর্তীতে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক সৈয়দকে পুলিশ দিয়ে আটক করান।
আটক দলিল লেখক শহিদুল ইসলাম সৈয়দ বলেন, আমি শাহ আলমের জমি খারিজ করার জন্য টাকা নিয়েছি এটা সঠিক। কিন্তু জমি খারিজ করতে দিয়েছিলাম দলিল লেখক সমিতির আরেক সদস্য গঙ্গাদাশপুর গ্রামের রমজানের কাছে। তিনিই কাগজপত্র জাল করেছেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে একটি অভিযোগ আসে যে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে জমি খারিজ করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমি ওই মুহুরিকে আটক করি এবং স্বাক্ষর জালের প্রমাণ পাই। স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে সৈয়দকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।