জুমবাংলা ডেস্ক : মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের মদদদাতা হিসেবে ব্যবসায়ী থেকে কূটনৈতিক বনে যাওয়া রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে অভিযোগগুলো দেখা যাক, অভিযোগগুলো দেখলে পরে কিছুটা যদি বোঝা যায়, কিছুটা সত্যতা আছে, তাহলে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে।
এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হলেও সে সময় দূতাবাস থেকে ঢাকায় চিঠি পাঠিয়ে ওই বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
পাপুলের সঙ্গে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কালামের সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে বিপদের মুখে পড়তে হয় বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পেপারে আমরা দেখছি। পেপারে অভিযোগও আসতেছে।’
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কালামের মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ মাসেই উনি চলে আসবেন। আমরা নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন, সেটাও নির্ধারণ করেছি। যে কোনো দিন উনি যাবেন।’
২০১৬ সালে ব্যবসায়ী ও চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামকে চুক্তিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি কালাম চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতিও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।