পুলিশ তার ‘বুকের কাছে গিয়ে অশালীন আচরণ করে’ দাবি করে ‘নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে’ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে চড় মারেন বলে স্বীকার করেন গ্রেফতার হওয়া গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগেরও আহ্বায়ক এবং কাউন্সিলর রুহুন নেছা রুনা।
পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আঘাত, সরকারি পোশাক ছেঁড়া, পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে মামলা দায়ের করেন কনস্টেবল আশিকুর রহমান। শনিবার রাতেই তিনি এমন দাবি করেন।
পরবর্তীতে রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম হামিদুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠনো ওই নারী নেত্রী গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগেরও আহ্বায়ক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর।
পুলিশকে চড় মারার কথা স্বীকার করলেও ঘটনার কারণ ভিন্ন বলছেন ওই নারী কাউন্সিলর। নারী নেত্রীর বলেন, ‘প্রাইভেট কারে এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় ইউটার্ন নিতে যান তিনি। এ সময় পুলিশ তাকে ডান দিকে ইউটার্ন নিতে নিষেধ করে বলেন তিনি।
এমতাবস্থায় তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেও পুলিশের সাড়া পাননি তিনি। পরে ওই পথের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন-তাকে বাধা দেওয়ার ওই পথে এলামেলোভাবে অন্য গাড়ি চলাচল করছে।
এ সময় তাকে বাধা দেওয়ার পথটি দিয়ে অন্য গাড়ি যেতে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে দাবি করেন তিনি।
নারী নেত্রী ও কাউন্সিলরকে কারাগারে পাটানোর বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) একেএম আহসান হাবীব জানান, রুনার পক্ষে জামিনের কোন আবেদন না পাওয়ায় দুপুরে অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম হামিদুল হক তাকে ‘হাজতি পরোয়ানা মূলে’ গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, এ মামলার পরবর্তী তারিখ ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।