আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে ‘বুড়ো’ বিড়ালের স্বীকৃতি পয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডমে নাম লিখিয়েছে ‘ফ্লসি’। জীবনের ২৬টি বসন্ত পার করে ফেলে নজির গড়েছে এ বিড়ালটি।
নতুন নজির প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, ঐ বিড়ালটির জন্ম হয় ১৯৯৫ সালে। বর্তমানে তার বয়স ২৬ বছর ৩২৯ দিন। চেহারায় ছোটখাটো। গায়ের রং কালো ও ধূসর রঙের। সাধারণত এত বছর কোনো বিড়াল বাঁচে না। একটা বিড়ালের গড় আয়ু ১৩ থেকে ১৪ বছর। তবে কোনো বিড়ালকে যদি যত্নে রাখা যায়, তা হলে তা ১৫ বছরের বেশিও বাঁচতে পারে। কোনো কোনো বিড়াল তারও বেশি বাঁচতে পারে। তবে তা খুবই বিরল।
জানা গেছে, বিশ্বের ঐ ‘বুড়ো’ বিড়ালটি সুস্থ রয়েছে। তবে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। সেই সঙ্গে বিড়ালটি বধির।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম জীবনে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে মেরিসাইড হাসপাতালের কাছে একটি এলাকার রাস্তাঘাটেই ঘুরে বেড়াত বিড়ালটি। পরে বিড়ালটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান এক নারী। ১০ বছর ধরে ঐ নারীর সঙ্গে ছিল বিড়ালটি।
ঐ নারীর মৃত্যুর পর বিড়ালটির দেখভাল করেন তার বোন। তার সঙ্গে বিড়ালটি ছিল ১৪ বছর। পরে ঐ নারীর মৃত্যু হলে বিড়ালটি নেন ভিকি গ্রিন নামে আরেক নারী। বিড়ালদের দেখভাল আশ্রয়কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট তিনি।
পোষ্যের নজিরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ভিকি। তার কথায়, প্রথম থেকেই বুঝেছিলাম ফ্লসি বিশেষ ধরনের বিড়াল। ভাবতেই পারিনি যে, আমার বাড়িতে গিনেস ওয়ার্ড রেকর্ডের খেতাব আসবে। বিড়ালটি খুবই ভাল।
তিনি জানান, দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতা ও বধির হলেও বিড়ালটি বেশ প্রাণবন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।