জুমবাংলা ডেস্ক : বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভল্ট ভেঙে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভল্ট ইনচার্জ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাহাবুল সর্দার ও চার সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ৫ জনকে।
কাস্টম সুত্র জানায়, হাউসের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাখা ভল্টের তালা ভেঙে স্বর্ণ ও ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে যায় চোররা। সেখানে ঢোকার আগে তারা সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই ভল্টে কাস্টম, শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করা স্বর্ণ, ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রা এবং কষ্টিপাথরসহ মূল্যবান দলিলপত্র ছিল। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ওই ভল্ট রুম পর্যবেক্ষণ করে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী জানান, কাস্টমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি, ভায়াগ্রা চক্রের অপতৎপরতা ও কাস্টম কমিশনারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য একটি চক্র এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
তিনি জানান, যুগ্ম-কমিশনার শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় লকার ইনচার্জ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাহাবুল সর্দার ও ৪ সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
যশোর ডিএসবির (এএসপি) তৌহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শুক্র, শনি ও রোববার অফিস বন্ধ থাকায় এর মধ্যে কোনো একদিন এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের ইন্সপেক্টর সাইফুল, সিপাহী পারভেজ, এনজিও কর্মী আজিবর, মহব্বত ও সুরত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কাস্টম হাউসের ভল্টে বিভিন্ন সময় জব্দ করা ২৯ থেকে ৩০ কেজি স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা, কষ্টিপাথর এবং মূল্যবান দলিলপত্র ছিল। কিন্তু চুরি হওয়ার পর আমরা প্রাথমিক তদন্তে সেখান থেকে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম স্বর্ণ মিসিং পেয়েছি। অন্য কোনো মালামাল চুরি হয়েছে কিনা তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।