জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে কালন্দি খাল দিয়ে নেমে আসা দূষিত কালো পানি পরিদর্শন করেছে পরিবেশ অধিদফতরের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
ইফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (ইটিপি) স্থাপন সম্পর্কিত বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবেশ সদর দফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ড. ফাহমিদা খানমের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়ায় ভারত থেকে নেমে আসা বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত কালো পানি পরিদর্শন করে। এ সময় তারা পানি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করে।
জানা গেছে, বছরের পর বছর ধরে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে ময়লা-আবর্জনা ও রাসয়নিক পদার্থ মিশ্রিত কালো পানি আসার কারণে ক্রমশ হুমকির মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার খাল-বিল, নদীসহ উপজেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত এ পানির গন্ধে যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন আখাউড়া উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তঘেঁষা অন্তত ১০-১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বর্ষাকালে বৃষ্টির মৌসুমে দুর্গন্ধযুক্ত এ কালো পানি ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে। এতে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগ বেড়ে যায় মানুষের।
বিষাক্ত এ পানি বন্ধের ব্যাপারে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বস্ত করা হলেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। রাসায়নিক মিশ্রিত এ পানি ইফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (ইটিপি) মাধ্যমে পরিশোধন করে ছাড়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শন আর বৈঠক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, আগরতলা শহরের একাধিক হাসপাতাল, ডাইং কারখানা, চামড়া কারখানা, মেলামাইন কারখানা ও বাসাবাড়ির স্যুয়ারেজ লাইনসহ বিভিন্ন বর্জ্যযুক্ত বিষাক্ত পানি কোনো প্রকার পরিশোধন ছাড়াই আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন কালন্দি খাল দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে বিষাক্ত কালো পানি।
বাসিন্দারা বলেন, বিষাক্ত কালো পানির প্রভাবে তারা অনেকেই নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যান; পানির সংস্পর্শে গেলেই চর্ম ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন কৃষকরা।
স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনসহ একাধিক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এ কালো পানির সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নের জন্যই কালন্দি খালের পানি সংগ্রহ ও পরিদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ সদর দফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ড. ফাহমিদা খানম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নূরুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সদর দফতরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) সৈয়দ নাজমুল আহসান, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) মোয়াজ্জম হোসাইন প্রমুখ। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।