জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনকৃত মাকে রেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলে প্রান্ত খান (১৬) সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ সড়কের লক্ষীপুর নামক স্থানে (ইটভাটা সংলগ্ন) ড্রামট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রান্ত নিহত হয়।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রান্ত সরকারি ফুলবাড়িয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র। সে ফুলবাড়িয়া কলেজ হিসাবরক্ষক মো. আব্দুল লতিফ খানের ছেলে।
গতকাল সোমবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়ের একটি মেজর অপারেশন হয়। আজ হাসপাতাল থেকে সিএনজি যোগে ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে বাসায় ফেরার পথে লক্ষ্মীপুর ইটভাটা সংলগ্ন মোড়ে পৌঁছালে ময়মনসিংহগামী বেপরোয়া একটি ড্রামট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ২জনের নিহতের কথা জানালেও হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন মারা গেছে। তবে এ ঘটনায় সিএনজি চালক মারাত্মক আহত হলেও পালিয়ে গেছে ঘাতক ড্রামট্রাক ও চালক।
নিহত প্রান্ত তার ফেসবুক পেজে গতকাল সোমবার এক স্ট্যাটাসে লিখেন, আজকে শেষ দিন হলেও হতে পারে। এমন আক্ষেপে তার বন্ধুরা মর্মাহত। আহত যাত্রীদের মধ্যে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এ.এইচ হিল্লোল এর পিতা (অব. শিক্ষক) তাজ উদ্দিন মাস্টার ও মা (অব. শিক্ষিকা) হেলেনা খাতুনও রয়েছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া (অনার্স) কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আমজাদ হোসেন জানান, আহত অবস্খায় প্রান্তকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুলবাড়িয়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আব্দুস ছাত্তার সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।