জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের এক জামায়াত নেতা নিঃসন্তান প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্যসচিব মালেক হুসেন পীর গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এদিকে জামায়াত নেতা ভুয়া পরিচয়ে ভাতা তোলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের সরদারপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ২০০৮ সালে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর কিছুদিন পর ২০০৯ সালে মোহনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও একাত্তরের শান্তি কমিটির তালিকাভুক্ত সদস্য আনজব আলীর কাছ থেকে সরদারপুর গ্রামের মৃত আফতর আলীর ছেলে ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের ছেলে পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন নেন।
আব্দুল লতিফ ২০১৮ সালের ২০ মার্চ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের ছেলে পরিচয় দিয়ে এফিডেভিট করেন। তাঁর এই এফিডেভিটে সত্যায়ন করেন জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন। ২০১৭ সালের ২ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের ছেলে মর্মে উত্তরাধিকারী সনদপত্র দেন মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হক। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে মো. আব্দুল লতিফ মুক্তিযোদ্ধার ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাতা তুলছেন।
এদিকে ভাতা তোলার পরে আব্দুল লতিফ নিজের পুরনো ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা নাছির উদ্দিনের ছেলে পরিচয়ে সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করছেন।
আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, ‘আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে আমি লিখিত আবেদন করেছি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘এসংক্রান্ত একটি আবেদন গতকাল পেয়েছি। আমি সমাজসেবা অফিসকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।’ সূত্র : কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।