জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মেহেরপুর গ্রামে এক স্বামী তার স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রী নিপা আক্তারকে (২৩) প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা স্বামীর নাম হারুন মিয়া (২৬)। তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার পরপরই ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। আজ শনিবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মেহেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ চন্দ্র হারুন মিয়াকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
সূত্র জানায়, প্রায় ৬ বছর বিজয়নগর উপজেলার বড়চাল গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে নিপা আক্তার ও মেহেরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হারুন মিয়া চট্রগ্রামে কর্মরত অবস্থায় পরিচিত হয়ে প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে।
স্বামীর অভিযোগ, নিপা আক্তার প্রায়ই বাড়ি থেকে স্বামীকে না জানিয়ে চলে যান। ঘটনার দিনও নিপা বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে চান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন তার স্ত্রী নিপাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারাল দা দিয়ে ঘাড়ে কোপ মারেন। এত নিপা মাটিলে লুটিয়ে পড়লে মৃত ভেবে স্বামী হারুন চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামালের কাছে আত্মসর্মপণ করেন।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থরে পুলিশ গিয়ে হারুন মিয়াকে আটক করেছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।