জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর কালিয়াকৈরে একটি টেক্সটাইল মিলে আসমা বেগম (৪০) নামে এক নারী শ্রমিকের পায়ুপথে কম্পেশার মেশিন দিয়ে বাতাস দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) ভোর পৌনে ছয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলায়। বাবার নাম আলিম উদ্দিন।
গাজীপুর সখিপুরের রতনপুর এলাকায় একটি বাড়িতে একাই ভাড়া থাকেন তিনি। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা বাড়ির মালিক স্বর্ণা বেগম জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে শাহবুদ্দিন টেক্সটাইল নামের কারখানার নিরাপত্তা কর্মী তাদের বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়, কারখানার ভেতরে সহকর্মীরা কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে আসমার পায়ুপথে বাতাস দিয়েছে। তাকে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে স্বজনদের খবর দিলে তারা সবাই মিলে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন।
তার পরিচিত দিপু খান নামে এক যুবক জানান, শাহাবুদ্দিন টেক্সটাইল মিলে ফিনিশিং অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসমা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আসমার কাছ থেকে শুনতে পেয়েছেন, শুক্রবার তার রাত্রীকালিন ডিউটি ছিল। কাজ শেষে আজ ভোরে যখন বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তার অন্য সহকর্মীরা কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে তাদের শরীরে লেগে থাকা সুতা পরিস্কার করছিল। তখন আসমাকে তারা বলে তার গায়ের ময়লা পরিষ্কার করবে কি না?
তখন আসমা তাদের জানায়, সে দ্রুত বাসায় চলে যাবে, ময়লা পরিষ্কার করবে না। তখন তার তিন নারী সহকর্মী ও একজন পুরুষ মিলে তাকে জড়িয়ে ধরে। এরপর তাদের মধ্যেই একজন কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে আসমার পায়ুপথে বাতাস দেয়। এতে সে তাৎক্ষণিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আসমার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক সখিপুরেই অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করবেন। সেই সঙ্গে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
গ্রামীন পদ্ধতিতে মাছ ধরার নতুন কৌশল, নেট দুনিয়ায় তুমুল ভাইরাল
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি কালিয়াকৈর থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। তিনি বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আর ভুক্তভোগী নারীর অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে জরুরিভাবে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।