জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ এবং আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
জানা যায়, প্রথমে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। অন্যদিকে শহীদ মিনার ও দাদামোড় সড়কে অবস্থান নিয়ে পাল্টা ধাওয়া দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। চলতে থাকে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এভাবে দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দুইদিক থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘিরে ফেলে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা পালিয়ে গেলেও জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা কার্যালয়ে আটকা পড়েন। এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে দরজা ভেঙে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু, রেদওয়ানুল হক দুলাল, রুহুল আমিন দুলালসহ অন্যান্য নেতাদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে গুরুতর আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলামসহ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিস শাহিনুর রহমান শিপন জানান, দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে আসতে শুরু করে আহতরা। এদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষার্থী ও পুলিশ রয়েছে। গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে দুপুরের পর থেকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে বিক্ষোভ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা ভবন ভাঙচুরের পর থানা ঘেরাও করে। ফুলবাড়ীতে অন্তত ৮টি ও কুড়িগ্রাম জেলা শহরে ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।