জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে সাহানা আক্তার (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী লালন ফকিরকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (০২ জুন) সকালে খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানার পুলিশ লালন মিয়ার বাড়ির বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাহানার বাবা সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের ফুল মিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটি এম মাহমুদুল হক।
তিনি জানান, মধ্যনগর থেকে খবর পেয়ে আমরা কলমাকান্দার প্রত্যন্ত এলাকার বিশরপাশার সাথে কাঞ্চনপুর গ্রামের লালন মিয়ার ঘরের মেঝেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী লালন মিয়াকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গত প্রায় ১২ বছর পূর্বে কলমাকান্দার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত রাহিম মিয়ার ছেলে লালনের সাথে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্য নগরের ফুল মিয়ার মেয়ে সাহানার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৯ বছরের একটি মেয়ে ৭ বছরের একটি ও আড়াই বছরের আরেকটি শিশু সন্তান রয়েছে। এছাড়াও সাহানা কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে লালনের মা ভাইরা সব ঢাকায় গার্মেন্টসে বিভিন্ন স্থানে চাকরি করায় লালন একাই বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন।
লালনের শ্বশুরের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত এক মাস পূর্বে লালন একটি বিয়ে করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী বলেন, ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সাথে দেখছে। স্বামীকে আটকও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।