জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব পাঁচপাড়ায় অবস্থিত মারকাজুল হিদায়াহ মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ফরিদ আহম্মেদকে (৪০) শিশু বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
রবিবার ত্রিশাল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দিতে অপরাধ স্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক।
ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন সোমবার জানান, হালুয়াঘাট উপজেলার ধোপাগুছিনা গ্রামের ওই ছাত্র (ভিকটিম) মারকাজুল হিদায়া মাদ্রাসায় থাকতো। লকডাউনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় মাদ্রাসা ছুটি ছিলো। মাদ্রাসা পরিচালক মুফতি ফরিদ আহম্মেদ মাদ্রাসায় থাকতেন। ভিকটিম গত ২১ এপ্রিল থেকে এই মাদ্রাসায় থাকাকালীন মুফতি ফরিদ আহম্মেদ প্রায় দিনই তাকে বলাৎকার করতেন।
ওসি বলেন, ঘটনার দিন গত ৮ মে রাত ১১টার দিকে মুফতি ফরিদ আহম্মেদ ভিকটিমকে বলাৎকার করতে চাইলে সে বাধা দেয়। পরে হুজুর ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে। ঘটনার পর আসামি কাউকে কিছু না বলার জন্য ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায়।
পরে ভিকটিম ঘর থেকে বের হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। এরপর ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী ত্রিশাল থানা পুলিশের একটি টিম মাদ্রাসা থেকে মুফতি ফরিদ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা হালুয়াঘাট থেকে সংবাদ পেয়ে ত্রিশাল থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। আসামি ফরিদ আহম্মেদকে ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দিতে অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।