কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিপদে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. কামাল। প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন তিনি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে তিন তিনটি মিথ্যে মামলা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার কটিয়াদি উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকশা গ্রামের ফসলি জমি এখন প্রভাবশালী বালু উত্তোলনকারীদের আগ্রাসনের শিকার। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে পাইকশা গ্রাম থেকে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে।
নিয়মিত বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের রাস্তা, কালভার্ট ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া ভবিষ্যত বিপদ আরও ভয়াবহ হতে পারে এ আশঙ্কায় শিক্ষক কামাল গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। চক্রটি তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা ঠুকে দেয়।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, পাইকশা গ্রামের মেহেদি হাসান, সাফির উদ্দিন, মো. শাহজাহান, মিজানুর রহমান ও মানিক মিয়া সিন্ডিকেট করে ফসলি জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করেন। প্রতিবাদ করায় প্রথমে তারা কামালকে মারধর করেন।
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে জড়ানো শিক্ষক কামালের কিন্তু একা হয়ে যাননি, তার পাশে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সমিতি, আশ্রয় ও স্বপ্ন নামের দুটি সামাজিক সংগঠন। ইতোমধ্যে এলাকায় কামালের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনও হয়েছে। তাছাড়া এলাকার সচেতন নাগরিকরাও এখন তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শিক্ষক মো. কামাল জুমবাংলাকে বলেন, ‘ওদেরকে বুঝিয়ে বলার পরেও ওরা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বিষয়টি থেকে বিমুখ হচ্ছে না। ওরা শুধু মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, একদফা মারধরও করেছে আমাকে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীকে নিয়ে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই তারা আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি আশা করব প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।