জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছেন একজন আইনজীবী।
শুরুতে তার পক্ষে আদালতে লড়তে সিলেটের কোনো আইনজীবী রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত আইনজীবী পেলেন তিনি। আকবরের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই করবেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মিসবাউর রহমান আলম।
যদিও এর আগে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ঘৃণ্য এ অপরাধে এসআই আকবর হোসেন জড়িত থাকায় সিলেটের কোনো আইনজীবী তার পক্ষে আদালতে দাঁড়াবেন না। রায়হানের বাড়িতে গিয়েও এমনটি জানিয়েছিলেন সমিতির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে অ্যাডভোকেট মো. মিসবাউর রহমান আলম বলেন, আসামিপক্ষে আইনজীবী না থাকলে তো বিচার প্রক্রিয়াই আটকে যাবে। আকবর অভিযুক্ত হলেও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সে অপরাধী হবে। এর আগে আইনি সহায়তা পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। গত ১০ ডিসেম্বর আকবরের পক্ষে তিনি ওকালতনামা জমা দিয়েছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান নগরীর আখালিয়া বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।
মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এই ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর হোসেন ভূঁইয়া।
এরপর গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় জেলা পুলিশ। এছাড়া তাকে পালাতে সহায়তা করায় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সূত্র : জাগো নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।