সিরাজগঞ্জে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাথী খাতুনকে (১৫) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আতিকুর রহমান। গতকাল বুধবার ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে আতিকুর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে রহস্যজনক মৃত্যু হয় সাথীর। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্ট্রোক করে সাথীর মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রচার চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান, নিহত সাথী খাতুনের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আতিকুর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের শারীরিক সম্পর্কে সাথী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
আতিকুর রহমানের সঙ্গে এক মাস সাত দিন সংসার করার পর সাথী খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০ জুলাই সাথীর বাবা সাগর হোসেন মুন্সি বাদী হয়ে আতিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে তার মা মাজেদা বেগম, বাবা কামরুজ্জামান ও ভাই আরিফুর জামানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানান। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা আত্মহত্যার স্থান পরিদর্শন করে এর কোনো সত্যতা পায়নি। পরে মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী আতিকুর রহমান হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।
আতিকুর জানান, সোমবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি তার স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্য করেন। পরে তার বাবা-মাকে হত্যার বিষয়টি জানালে সবাই মিলে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। গতকাল বুধবার দুপুরে আতিকুর রহমানকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাথী খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।