জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের বাহুবলে হাফিজুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর রিকশাচালককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাগানবাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রিকশাচালক কিশোর হাফিজুর রহমান উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের তড়লী গ্রামের আবদুস ছামাদের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন পুলিশের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বুধবার বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ডাক্তার জানিয়েছেন অতিরিক্ত আঘাতে তার হাত ভেঙে গেছে।
আহত হাফিজের ভাই দিদার আলী জানান, আমরা দুই ভাই, মা-বাবা ও চার বোন নিয়ে অনেক কষ্টে ডাল-ভাত খাই। আমার ভাইটা বরুনা মাদ্রাসায় পড়ত, টাকার অভাবে পড়াতে পারি নাই। প্রায় বছরখানেক আগে আমাদের অভাব দেখে ছোটভাই হাফিজও পড়া বাদ দিয়ে রিকশা চালানো শুরু করে মা-বাবা আর বোনদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
মঙ্গলবার বিকালে একটি ট্রিপ আনতে সে বিশ্বরোড দিয়ে বাহুবল বাজারে যেতে থাকে। দৌলতপুরের কাছে বাগানবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে বিশ্বরোডের চেকিং পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তার রিকশা আটক করে। একপর্যায়ে সে কেন রিকশা নিয়ে বিশ্বরোডে উঠল এ নিয়ে তাকে মারধর করে।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাকে এমনভাবে মারল যে আমার ভাইয়ের হাতটাই ভেঙে দিল। আমার ভাইটাকে পঙ্গু করে দিল। টাকার জন্য আমার ভাইটাকে চিকিৎসা করাতে পারছি না। বুধবার দুপুরে টেনু চেয়ারম্যান সাহেবের ভাই ফেরদৌস দুই হাজার টাকা দিয়েছেন। তার টাকা পেয়ে তারে নিয়ে বিকালে হবিগঞ্জ হাসপাতালে আসছি। ভাইয়ের ওপর এমন নির্যাতনের বিচার চান তিনি।
এদিকে লোকজন তার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে পুলিশের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন। তবে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ নাকি ট্রাফিক পুলিশ হাফিজের ওপর নির্যাতন করেছে সেটি জানা যায়নি।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি দেখছি। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।