জুমবাংলা ডেস্ক : মানবপাচার করে কয়েক হাজার কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছেন বলে লক্ষীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহীদ ইসলাম পাপলুর নামে অভিযোগ এসেছে। কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানের তোপে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এই সদস্য কুয়েত থেকে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
মানুবপাচারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানেব থাকা কুয়েত সরকার বিভিন্ন অভিযান নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে নাম রয়েছে এমপি পাপলু ছাড়াও আরও অনেকের।
এমপিকে নিয়ে এমন রিপোর্ট করার পর বাংলাদেশ মিশন তখনই যোগাযোগ করেছে গোয়েন্দা সংস্থার সাথে। মারাতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানীজের মালিক কাজী শহীদ ইসলাম পাপলু মানবপাচারের সাথে জড়িত আছেন বলে মিশনকে নিশ্চিত করেছে কুয়েত সিআইডি।
বাংলাদেশ মিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে লোক পাঠানোকেই মানবপাচার বলে কুয়েতে গন্য করা হয়।
হাই কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, সিআইডির নিশ্চিত করেছে সাংসদ পাপলু বর্তমানে কুয়েতে নেই। তিনি পালিয়েছেন।
কুয়েতি সংবাদ মাধ্যম বরাতে আল কাবাসের খবরে জানানো হয়- প্রথমদিকে কুয়েতের একটি বড় কোম্পানীতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে নিজেই প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার হয়ে যান। এরপর শুধু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন।
কুয়েতে সস্তা কিছু টেন্ডার নিয়ে উনি দেশ থেকে লোক নিয়ে টাকা আয় করতেন। টেন্ডার থেকে লাভ খুব কম হলেও দেশ থেকে নিয়ে আসা শ্রমিকদের থেকে টাকা নিয়ে তিনি বনে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। যার পুরোটাই অবৈধ।
কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানির চুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন। সূত্র: মানবজমিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।