জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নে.শা দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে এক কিশোরীকে গণধ.র্ষণ করে চার বন্ধু। ধ।র্ষণের পর ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে তারা হাসতে হাসতে বলতে থাকে- হ্যালো ফ্রেন্ডস আগামীকাল হয়তো জেলে থাকবো, কারো সঙ্গে আর দেখা হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভিডিও ছড়িয়ে পরতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য।
গত ১৫ জানুয়ারি রাতে এমন ঘটনা ঘটে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায়। এদিকে ঘটনার পরপরই থানায় ধ.র্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।
ঘটনার নয়দিন পর ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে র্যাব প্রথমে তিনজন ও পরে একজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শরীফ হোসেন, ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান হাসান। এর আগে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থানায় ধ.র্ষণ মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা। এরপর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে তৎপর হয়। পরে ঘটনার নয়দিন পর ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে র্যাব প্রথমে তিনজন ও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লা আল মামুন।
ওই ছাত্রীর মা জানান, তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে শরীফ তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় অপহরণের হুমকিও দেয় শরীফ।
তিনি আরও জানান, গেল ১৫ জানুয়ারি কারখানার কাজ শেষে রাত ১০টায় বাসায় এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নয়নপুর গ্রামের জনৈক আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোপের ভেতর থেকে স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে স্কুলছাত্রী জানায়, রাত আটটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে শরীফ মুখে গামছা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে নয়নপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোঁপে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধ.র্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।