জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের বহুল আলোচিত মোবারক মিয়া খুনের মামলার প্রধান আসামি বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবির আহমেদকে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে আদালত এ নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকতা নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো: রুহুল আমিন জানান, মোবারক হত্যা মামলার আসামি কবির আহমেদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকা থেকে র্যাব-৯ গ্রেফতার করে। সোমবার ভোরে তাকে নবীনগর থানায় আনা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারান্নুম রাহাতের আদালতে তোলার পর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কবির আহমেদ মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট ইনস্পেক্টর কাজী দিদারুল আলম জানান, কবির আহমেদকে আদালতের নির্দেশে বেলা সাড়ে ১১টায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের কাউসার মোল্লা সর্দারের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে গত ১২ এপ্রিল এক সংঘর্ষ হয়। যাতে মোবারক মিয়ার পা কেটে হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষ কাউসার মোল্লার লোকজন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে। মোবারক চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার দিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
মারা যাওয়ার আগে মোবারক এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে গেছেন। তারা হচ্ছেন, হাজিরহাটি গ্রামের মাইনুদ্দিনের ছেলে রুমান, থানাকান্দি হাতবাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন, জিল্লুরের ছেলে শাহিন, মালির ছেলে জাবেদসহ আরো কয়েকজন, যাদের তিনি চিনতে পারেননি। মোবাইলে ধারণ করা মোবারকের এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কবির আহমেদ আসামি না করা হলেও, এই ঘটনার ছয় দিন পর নিহতের চাচাতো ভাই চাঁন মিয়া এ হত্যা মামলায় পাশের বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এ মামলায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের দলনেতা কাউছার মোল্লাকে দুই নাম্বার আসামি করা হয়েছে। একালাকাবাসী আক্ষেপ করে জানিয়েছে, মোবারকের কাটা পা হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া রুমান এখনো গ্রেফতার হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।