জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর চাটখিলে সৌদি প্রবাসীকে অপহরণের পর নারীর সঙ্গে বিবস্ত্র ছবি তুলে লাখ টাকা আদায় করেছে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- চাটখিল উপজেলার পশ্চিম শোশালিয়া এলাকার আমিন উল্যার ছেলে আকাশ বাহিনীর প্রধান ছালাউদ্দিন কামরান আকাশ, একই এলাকার বনি আমিনের ছেলে দিদার হোসেন জনি ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের হাফিজ পাটোয়ারীর ছেলে বাবু হোসেন।
জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাড়ি থেকে চাটখিল বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন প্রবাসী মাসুদ। পথে খিলপাড়া রুহুল আমিন সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। ওই সময় অটোরিকশায় একজন নারী ও একজন পুরুষ ছিলেন। কিছু পথ যাওয়ার পর মাসুদকে ছুরির ভয় দেখিয়ে চোখ, হাত ও মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান পাশে থাকা নারী-পুরুষ।
এ সময় আরো ১০-১২ জন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাসুদের ব্যবহৃত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেন। পরে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম ও বিবস্ত্র করে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি ধারণ করেন। ছবিগুলো পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাসুদ তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দেন। এছাড়া নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাসুদ। পরে ওইদিন রাতে একটি অটোরিকশায় চোখ বেঁধে দশঘরিয়া বাজারের পূর্ব পাশের সড়কে মাসুদকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা।
চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন প্রবাসী মাসুদ। মামলার সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।