যশোর শহরের কারবালা এলাকায় নাইট কুইন বিউটি পার্লারের মালিক নাজমার বিরুদ্ধে পার্লারের নামে দে.হব্যবসা ও ই.য়াবা বিক্রির অভিযোগ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
সমাজের আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে ৫০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের কাছে অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ সুপার।
অভিযোগে জানা যায়, বিউটিশিয়ান নাজমা দীর্ঘদিন ধরে বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের দিয়ে দে.হব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে আছে তার মা.দক ব্যবসাও। তার পার্লারে চলে ই.য়াবা বিক্রি ও সেবনের আড্ডা। নাজমার সাহায্যকারী হিসাবে আসেন বাড়ির মালিক আজিজুল ইসলাম।
এর আগে আজিজুল ইসলাম নাজমার বাসা থেকে ই.য়াবা ও ক.লগার্লসহ পুলিশের হাতে আটক হন। বেশ কয়েক মাস কারাভোগ শেষে জা.মিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সে মা.দক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
নাজমার কাছে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন মেয়ে বসবাস করে। তারা বিভিন্ন কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের মধ্যে চৌগাছা আলফাতুন্নেছা অনু, মহেশপুরের ডালিয়া, বেনাপোলের আখি, ঝিকরগাছার বৃষ্টি, চুয়াডাঙ্গার তানিয়া, কোটচাদপুরের শাহনাজ, বেজপাড়ার ইতি, ঝুমঝুমপুরের পিয়া, নওয়াপাড়ার সুমি, হামিদপুরের সানজিদা অন্যতম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্লার ব্যবসা নাজমার লোক দেখানো। যশোর শহরসহ আশপাশের এলাকায় খ.রিদ্দার ঠিক করে তাদের কাছে এসব মেয়েদের পাঠানো এবং ই.য়াবা ব্যবসা করা নাজমার মুল উদ্দেশ্য। মেয়েরা তাদের বান্ধবীদের আয়ের উৎস দেখিয়ে নাজমার কাছে নিয়ে আসে। আর নাজমা তাদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে এ পথে নামিয়ে দেয়।
এভাবেই সহজ সরল মেয়ে অপরাধ জগতে পা রাখছে। এব্যাপারে এলাকাবাসি অনেকবার বাড়ির মালিক আজিজুল ইসলাম ও নাজমাকে নিষেধ করা সত্বেও তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ এমন হয়েছে যে পরিবার পরিজন নিয়ে মানসম্মানের সাথে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।