জুমবাংলা ডেস্ক : শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। হয়তো কোন শিকারির খপ্পরে পড়েছিল। তবে প্রাণের মায়াতো সবারই আছে। এজন্য শিকারির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ছুট দেয় সে। এভাবে শিকারির খপ্পর থেকে নিজেকে রক্ষা করেছি ঠিকই; কিন্তু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সোজা চলে এসেছে বাংলাদেশে।
এটা সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসা কোনো মানুষের গল্প নয়। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে একটি হরিণশাবক।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাউয়ারগড় গ্রামের হাওর থেকে হরিণটি আটক করেন কৃষক মনফর আলী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে কাউয়ারগড় হাওরে হরিণটি দেখতে পান হাওরের থাকা কৃষকরা। পরে সবাই মিলে তাড়া করেন এবং মনফর আলী হরিণটিকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে নিজের বাড়িতে হরিণটিকে বেঁধে রাখেন।
এদিকে হরিণ আটকের খবর পেয়ে সকাল থেকে মনফর আলীর বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। হরিণ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন লোকজন।
কৃষক মনফর আলী বলেন, ‘আমরা হাওর পাড়ের মানুষ। আমাদের গ্রামে হরিণ দেখা যায় না। ভারতীয় বনাঞ্চল থেকে হরিণটি হয়তো কোনো শিকারির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সীমান্তের ওপার থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, হরিণের বাচ্চাটির গায়ে আঘাত রয়েছে। পরে বন বিভাগের কর্মীরা এসে হরিণটি নিয়ে গেছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা বন কর্মকর্তা নিতীশ চক্রবর্তী বলেন, ‘হরিণ আটক হয়েছে— এমন খবর পেয়ে আমরা হরিণের বাচ্চাটি আমাদের হেফাজতে এনেছি। প্রাণীটির শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত কোনো শিকারির হাত থেকে বাঁচতে হরিণটি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ চলে আসে।’
মৌলভীবাজার জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এটিকে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা। সূত্র : জাগো নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।