জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর তাল্লুক গ্রামের ১৬ নম্বর চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতাধিক মৌমাছির চাক। মনে হচ্ছে, কেউ মৌমাছির চাষ করছে। এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে।
সরেজমিন দেখা যায়, দ্বিতল বিদ্যালয়টির চারদিক ঘিরে রয়েছে মৌমাছির বাসাগুলো। শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাস করছে মৌমাছি কক্ষে প্রবেশ করছে এবং ঘোরাঘুরি করছে। যখন মাঠে খেলছে মৌমাছিগুলো ছোটাছুটি করছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং মৌমাছি যেন একই পরিবারের সদস্য। কারও ক্ষতির কারণ হচ্ছে না মৌমাছিগুলো।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নতুন এ ভবনটি নির্মাণের ৭/৮ বছর পর থেকেই শীতের শুরুতে কিছু মৌচাক বাসা তৈরি করত এবং ৫/৬ মাস পর সেগুলো অন্যত্র চলে যেত। ৫ বছর ধরে মৌচাকের বাসা তৈরি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১০০টি মৌচাকের বাসা রয়েছে। দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন রাতে এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করায় কিছু মৌমাছি অনত্র চলে গেছে।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ের চারদিকের দেয়ালে প্রচুর মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। মৌমাছির বাসা বাঁধার কারণে আমাদের লেখাপড়ায় কোনো ক্ষতি হয় না। মৌমাছিগুলো খুব ভালো। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাইম ইসলাম বলে, বিদ্যালয়ের চারদিকে যেভাবে মৌচাক বাসা বেঁধেছে, দূর থেকে দেখলে ভয় লাগে। অথচ কোনো একটা মৌমাছি আমাদের কামড় দেয়নি। মৌমাছিগুলো আমাদের বন্ধু হয়ে গেছে। আমরা যখন ক্লাসে বসে লেখাপড়া করি কিছু মৌমাছি ক্লাসের ভেতর দিয়ে ঘোরাঘুরি করে। দেখলে মনে হবে, মৌমাছিগুলো আমাদের সঙ্গে পড়াশোনা করছে।
মৌচাক দেখতে আসা মনজুর হোসেন বলেন, ‘এ দৃশ্য দেখে আমি আনন্দিত। বিদ্যালয়ে এত মৌমাছির কথা শুনে দূর থেকে দেখতে এসেছি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মৌমাছির বন্ধন দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক চায়না আক্তার বলেন, দুই বছর হলো আমি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি। প্রথমে ভয় লাগত এত মৌমাছির মধ্যে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাব। এখন দেখি ভিন্ন চিত্র। মৌমাছিগুলো কাউকে কামড় দেয় না। যদি কেউ মৌচাকে আঘাত করে তা হলে কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে। মৌমাছি ওদের মতো আর আমরা আমাদের মতো থাকি। সূত্র : দেশ রূপান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।