জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করার অভিযোগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজ মিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী কনুকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন আফরোজ মিয়া চৌধুরীর ছেলে। নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতেও পিতা-পুত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আফরোজ মিয়া চৌধুরী ও তার ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী কনুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ১৬ই জানুয়ারি নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলকে। তার বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর বিএনপির সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরী। আফরোজ মিয়া চৌধুরী দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে না থেকে নাতির (বিএনপির প্রার্থী) পক্ষে তার নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেছেন। এ কারণে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আফরোজ মিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেছি। বিএনপির কোনো প্রার্থীর পক্ষে সভাপতিত্ব করিনি।’
আফরোজ মিয়া চৌধুরীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে কনু মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক আগেই আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। বর্তমানে ৩নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি ।’
এ ব্যপারে নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমেদ বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আফরোজ মিয়া চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া, তার ছেলে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী দলত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।