বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার একটি দাখিল মাদরাসার ভবনে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক অভিভাবক সদস্য ও দপ্তরি মিলে নারী ঘটিত অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটিয়েছেন। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবক হাতেনাতে ধরে ফেলায় তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে মাদ্রাসায় তালা ঝুলানোর হুমকি দিয়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার বিকেলে ওই মাদ্রাসার সুপার ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন এই অভিযোগ করেন এবং দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবী করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড়নগর পূর্বপাড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল বাকি (৩৬) এবং দপ্তরী মন্টু মিয়া (৩৮) গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাহির থেকে এক নারী ভাড়া করে নিয়ে এসে মাদ্রাসা ভবনে সিঁড়ির উপর অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এ সময় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, লিটন ও সানি নামে স্থানীয় তিন যুবক তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে মাদ্রাসায় তালা ঝুলানো হবে বলেও জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী লিটন ও সানি জানান, তারাসহ স্থানীয় বেশ কিছু যুবক ছেলে প্রায়ই মাদরাসা মাঠে আড্ডা দিত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ দিকে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল বাকি হঠাৎ এসে বলে এই তোরা তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যা। পুলিশ আসছে। এই বলে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। মাদরাসা গেট দিয়ে বের হয়ে কিছুদুর যেতেই একটা মেয়েকে নিয়ে কেউ একজনকে মাদরাসার ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর মাদরাসা ভবনের কলাপস্যাবল গেট খোলার শব্দ শোনা যায়। তখন সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম বিপ্লব নামে এক বড়ভাইকে তার বাড়ি থেকে ডেকে বের করে মাদরাসায় নিয়ে আসেন।
বিপ্লব জানান, সিঁড়ির উপর ওই নারী সহ অভিভাবক সদস্য আব্দুল বাকিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা যায়। দপ্তরী মন্টু মিয়া এসে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তালা খুলে ভিতরে ঢুকে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এমতাবস্থায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরদিন এই ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে কানাঘোষা শুরু হয় এবং ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আব্দুল বাকি জানান, কাউকে কোন হুমকি-ধামকি দেয়া হয়নি। আর এ ধরনের কোন ঘটনাও ঘটেনি।
মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান রাজা জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছেন। মাদরাসার সুপারকে জরুরী ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক আহবান করতে বলা হয়েছে। বৈঠকে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।