জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মমনসিংহের ভালুকা উপজেলার তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম জমির কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন । এ ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আরও দুজন জড়িত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নয় কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাধন সূত্র ধর বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
অবশ্য এরই মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম এক মাস আগে ভালুকা থেকে যশোরের ঝিনাইদহ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বদলি হয়েছেন।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভালুকার সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম, অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম সুজন এবং স্থানীয় আবু রাসেল চৌধুরীর যোগসাজশে প্রতারণা করে নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের এক মৃত ব্যক্তি ও বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়া দলিলদাতা সাজিয়ে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ২০১৭ সালে একটি ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এতে প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন তারা। এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জমি আত্মসাৎ ও দলিল জালিয়াতির সত্যতা পায় দুদক। এ অবস্থায় বুধবার বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধর বলেন, ৯ কোটি টাকার জমি আত্মসাতের ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুদক।সুত্রঃ জাগো-নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।