গত প্রায় চার মাস ধরে মাদরাসাপড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন শিক্ষক (হুজুর)। প্রতিবাদ করলে ভয় দেখাতেন মাদরাসা থেকে বহিষ্কারের। তবে এ ঘটনা আর চাপা থাকেনি। শিশুটি মিথ্যা বলে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে সব বলে দিয়েছে।
ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে শিশুটি মাকে জানায়, সে আর মাদরাসায় যাবে না। কেন যাবে না তার কারণ বলতে গিয়ে শিশুটি জানায়, তার হুজুর তার সঙ্গে গুনাহর কাজ করছে। এতে তার কষ্ট হয়।
এমন ঘটনাটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের একটি হাফিজিয়া মাদরাসায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসার শিক্ষকের নাম মো. সোহেল রানা (৩৫)। গত প্রায় চার মাস ধরে শিক্ষক সোহেল রানা কিছুদিন পরপর বিভিন্ন প্রলোভনে দেখিয়ে ওই ছাত্রকে মাদরাসার টিনশেড ঘরে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করতেন। সর্বশেষ গত ১৩ জুন সোহেল রানা ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেন। ঘটনা কাউকে জানালে ওই শিশু ছাত্রকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেন শিক্ষক। পরে ওই শিশুটি মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে ঘটনা পরিবারকে জানায় এবং তার সঙ্গে অন্যায়ের বর্ণনা দেয়।
এই ঘটনার পর ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ছেলের জবানবন্দিতে মঙ্গলবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘বলাৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।