জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্যাতনের শিকার দপ্তরি মো. তোফায়েল আহমদ (৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মনোয়ার আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা শাহনুর মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. তোফায়েল আহমদ ২০১৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ পান। এসময় উল্লেখিত বিবাদী শাহনুর মিয়া নিয়োগ পরীক্ষা দিলেও চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ায় তার মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। শাহনুর মিয়া সব সময়ই সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে তাকে শায়েস্তা করা যায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয় কম্পাউন্ডে রঙের কাজ তদারকি করার সময় শাহনুর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে সরকারি কাজ করতে বাধা দেয়। কোনো কিছু বলার আগেই তার ওপর হামলা চালিয়ে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের বাহিরে নিয়ে আসে। বিদ্যালয়ের সামনে থাকা গাছের সঙ্গে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করে। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়।
নির্যাতনের সময় দপ্তরির চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পাওনা টাকা আদায় ও পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহনুর মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন ও সম্পাদক সুজন মিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।