জুমবাংলা ডেস্ক : স্কুলে ভর্তি হওয়া হল না শিশু মো. মেহরাজ ইসলাম আরিয়ানের। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে হালিশহরের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ছয় বছর বয়সী ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের সন্দেহ শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
আরিয়ান ঢাকার নাখালপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জুয়েলের ছেলে। আগামী জানুয়ারিতে শিশু আরিয়ানকে স্কুলে ভর্তি করার কথা ছিল।
স্বজনরা জানান, গত দুই মাস ধরে সাইফুল স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানার শাপলা আবাসিক এলাকায় শ্বশুর মঈনউদ্দিনের বাসায় অবস্থান করছেন। ২৭ অক্টোবর শিশুটি বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। মেহরাজের মা মারজান বেগম ওই দিনই নগরীর পাহাড়তলী থানায় সন্তান নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারজান নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে হালিশহর ‘এ’ ব্লকে একটি মাদ্রাসার পাশে নির্মাণাধীন ভবনের পানি ও কচুরিপানা জমে থাকা একটি ডোবায় এক শিশুর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে আরিয়ানের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন।
শিশুটির মামা জাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের ধারণা শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া যে স্থান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বাসা থেকে ততদূরে শিশু আরিয়ানের পক্ষে একা যাওয়া সম্ভব নয়। কেউ তাকে নিয়ে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দিয়েছে।’
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সিনহা বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে। এখন কোনো ধরনের কমেন্ট করা সমীচীন হবে না। তার শরীরে কোনো ধরনের আঘাত আছে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।