এবার নিজের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আফাজুল মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে। ধর্ষণের শিকার ১২ বছর বয়সী শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর নানা বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুর মা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানিও সূত্র জানায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউপির উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আফাজুল মিয়া। তার পিতার নাম ইন্তাজ মিয়া। আফাজুল ইসলাম বিয়ে করেছেন আদমপুর ইউপির উত্তরভাগ গ্রামে। আফাজুলের তিন কন্যার মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী। স্ত্রী কাজের জন্য সৌদি আরব গিয়েছেন। কন্যাদের নিয়েই দিনমজুর আফাজুলের সংসার।
গত মঙ্গলবার রাতে আফাজুল মিয়া তার দ্বিতীয় মেয়েকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ মিলেছে। সকালে শিশুকে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর থানায় খবর দেয়া হয়। আফাজুল রাতে কন্যাকে নিয়ে ঘুমালেও সকালে উঠে পালিয়ে যান বলে স্বজনদের দাবি।
এরপর কমলগঞ্জ থানার এএসআই আনিসুর রহমান ও রিপন সরকার সংবাদ পেয়ে শিশুর বাড়িতে যান। তারা অসুস্থ্য শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শিশুকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল বুধবার রাতে শিশুর নানা বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত আফাজুল মিয়াকে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার আফাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। তাকে রিমাণ্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।