জুমবাংলা ডেস্ক : বাল্যবিয়ের অভিশাপে কিশোরী বিনা খাতুনের (১৪) জীবন এখন দূর্বিষহ। স্বামীর ঘর ছাড়তে তাই হস্তক্ষেপ কামনা করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। মাতৃহারা এ কিশোরীর বাবা শারিরীক প্রতিবন্ধী। আর তাই স্বজনরা অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে ভারমুক্ত হতে চেয়েছেন। আট মাস আগের বিয়েতে মত ছিল না বিনা খাতুনের। তারপর সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান চাইছে বিনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘটনা সুরাহার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিনা খাতুন মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইকতার আলীর মেয়ে। বিনার মা মারা গেলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা তাকে লালন পালন করে বড় করেন। বাবা ইকতার আলী শারিরীক প্রতিবন্ধী। এখন পুরোপুরি কর্মহীন। ২০১৮ সালের মে মাসে অনেকটা গোপনে বিনার বাল্যবিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামে ফয়সাল হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই নির্যাতনের শিকার বিনা। স্বামীর সাথে মনমালিন্যে এখন বিচ্ছেদ চাইলেও দিশা খুঁজে পাচ্ছে না কিশোরী। সবকিছু বিবেচনায় রবিবার দুপুরে বাল্যবধূ বিনা মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উসমান গনির কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগিতা চেয়েছে।
বিনা খাতুন জানায়,আট মাসে আগে বিয়েটি হয়েছিল মূলত সৎ মায়ের আগ্রহে। বিয়ের পর থেকে স্বামী নানাভাবে অত্যাচার করে চলেছে। তাই সংসার করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এ অত্যাচার থেকে কিভাবে বাঁচতে পারবে তা জানা নেই কিশোরীর।
বিনার সৎ মা সানজিদা খাতুন বলেন, ‘ওর বাপে অক্ষম। আয় উপার্জন নাই। মেয়ের বিয়ে দিছিলাম তাড়াতাড়ি সে কারণে। মেয়ের সুখের জন্য বিয়ে দিলিও এখন স্বামীর অত্যাচারে চলে আইচে।’
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, ‘স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিনা খাতুন নামের কিশোরী একটি অভিযোগ দিয়েছে। উভয় পরিবারের লোকজনকে বুধবার ডেকেছি। মেয়েটি যাতে সুষ্ঠু বিচার পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। তাকে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনাও আছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।