জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ চাষের জন্য খ্যাত রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো পেয়ে পেঁয়াজ চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ চাষ করে তাদের প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি লাভ হয়েছে।
সরেজমিনে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চররামনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলে মাঠ বসেই বস্তায় ভরছে। আবার অনেকে ঘোড়ার গাড়িতে বোঝাই করে পাতাসহ পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে।
মো. শহীদ নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ১২০/১৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই পেঁয়াজ ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। সব খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ টাকার বেশি লাভ হয়েছে। অথচ গত বছর এক বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজের আবাদ করে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছিল। আমি হাল না ছেড়ে এবারও মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছি।’
একই ইউনিয়নের গতমপুর গ্রামের কৃষক বাবলু শেখ বলেন, আমি এক বিঘা (প্রায় ৩৩ শতাংশ) জমিতে এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। সব খরচ বাদ দিয়ে আমার ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে।
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন,পাংশা উপজেলায় এবার সাড়ে ৩০০ হেক্টর আবাদি জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ মাঠ থেকে উঠানো হয়েছে, বাকী পেঁয়াজ মাঠে আছে রয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ছোট পেঁয়াজ থেকে যে পেঁয়াজ হয় তাকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বলে। বড় আকৃতির এ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।