ধর্ম ডেস্ক : রোজা রাখা অবস্থায় কারো কারো মুখে অনেক থুথু আসে। বিশেষত শব্দ করে কোনো কিছু পড়ার সময়ও এমন অবস্থা তৈরি হয়। এখন জানার বিষয় হলো- রমজানে রোজা রাখা অবস্থায় কিংবা রোজা রাখা অবস্থায় কেউ যদি থুথু গিলে ফেলে— তাহলে কি এই কারণে রোজা ভেঙে যাবে? নাকি ভাঙবে না?
রোজাদার যদি থুথু গিলে ফেলে- এতে তার রোজা নষ্ট হবে না; এমনকি সে থুথু অনেক বেশি হলেও; সেটা মসজিদে হোক কিংবা অন্য কোনো স্থানে হোক। তবে যদি কফের মত ঘন শ্লেষ্মা হয়, তাহলে গিলবে না। বরং আপনি মসজিদে থাকলে টিস্যু পেপারে কিংবা অন্য কিছুতে তা ফেলে দেবে। (ফতোয়া ও গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি : ১০/২৭০)
ইচ্ছাকৃতভাবে কফ গিলে ফেলা কি জায়েজ আছে?
এমন প্রশ্নের জবাব হলো- রোজাদার ও বে-রোজাদার উভয়ের জন্যে কফ গিলে ফেলা নাজায়েয। কেননা কফ ঘৃণিত জিনিস। হতে পারে কফের মধ্যে এমন কিছু রোগ রয়েছে- যা শরীর থেকে নিঃসরিত হয়েছিল। কিন্তু কফ গিলে ফেললে রোজা ভাঙবে না। কেননা কফ মুখ থেকে বের হয়নি। কফ গিলে ফেলাটা পানাহার হিসেবে গণ্য হয় না। তাই কফ মুখে চলে আসার পর গিলে ফেললে এতে করে রোযা ভাঙ্গবে না। (আল-শারহুল মুমতি; শাইখ উছাইমিন : ৬/৪২৮)
এছাড়াও কফ গিলে ফেললেও রোজা নষ্ট না হওয়ার কারণ হলো- কফ মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোজা নষ্ট হয় না। সুতরাং কফ গিলে ফেলার কারণেও রোজা ভেঙে যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে রিয়াজুল উলুম : ৩/৩০৩; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৩/৪০৩)
এমনকি যদি থুথু মুখের মধ্যে একত্রিত করে গিলে ফেলে তাতেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে অনেকেই বলেছেন যে, বেশি পরিমাণে থুথু বা কফ জমিয়ে গিলে ফেললে— রোজা মাকরুহ হবে।
প্রখ্যাত ফকিহ ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.)-কে কফ গিলে ফেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তখন তিনি বললেন, ‘মুখভরে না হলে— সর্বসম্মতিক্রমে রোজা ভাঙবে না। আর যদি মুখভরে হয়, তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) রোজা ভেঙে যাবে। আর ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর নিকট রোজা ভাঙবে না। আর এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত। (মারাকিল ফালাহ মাআত-তাহতাভি : ৩৪২)
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।