জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামে শ্বশুরের বটি’র কোপে জামাই সামরান মিয়া (২৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলের এ ঘটনায় আহত সামরান মিয়া তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বিগত কিছুদিন আগে সামরান মিয়া তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (২৫) ও শ্বশুর ফিরোজ মিয়ার (৫২) প্ররোচনায় গ্রামের নিজ ভিটেমাটি বিক্রি করে গৃহপালিত গরু নিয়ে শ্বশুর বাড়ি কলাগাঁয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তার ভিটে বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে তার শ্বশুর ফিরোজ মিয়া, শালা সাদ্দাম হোসেন (২০) ও স্ত্রী মাজেদা বেগম তাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে সামরান মিয়া ঘুম থেকে উঠে গরুগুলো ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দিতে বললে তার স্ত্রী অপারগতা জানায়।
এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সামরান মিয়া তার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। পরক্ষণে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম তার ভাই সাদ্দাম ও পিতা ফিরোজ মিয়ার কাছে বিচার দিলে তারা সামরানকে সমশের হাওর পাড়ে নিয়ে মারধরের এক পর্যায়ে শ্বশুর ফিরোজ মিয়ার হাতে থাকা বটি দিয়ে জামাই সামরান মিয়াকে আঘাত করলে তার বাম হাতে জখম হয় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এসময় কলাগাঁও শুল্ক স্টেশনে পার্শ্ববর্তী মন্দিয়াতা গ্রামের লোকজন কাজ করতে যাওয়ার পথে তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহতের বড় ভাই কুতুব উদ্দিন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।