জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব শিক্ষার্থী সন্ধ্যার মধ্যে হল ছেড়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নির্দেশনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা আজ সন্ধ্যার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আবাসিক হল ত্যাগ করেছে। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানায় এবং তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে।
এর আগে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট সভাপতি ও ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে বিকেল সোয়া ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ধাওয়া দেয় পুলিশ। এ সময় রাবার বুলেট-টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করলে ঘটনাস্থলেই আহত হন বেশ কয়েকজন।
এর আগে বেলা পৌনে ১টার দিকে ক্যাম্পাসে সাঁজোয়া যানসহ প্রায় শতাধিক পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরাও ওই সড়কে পুলিশের বিপরীতে অবস্থান নেন। এ ছাড়া বেলা ২টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষাথীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। এ সময় তারা প্রশাসনিক ভবনের উভয় ফটকে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সিন্ডিকেট সদস্য এবং একাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়। পরে বিকেল সোয়া ৫টায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা হলের দিকে দৌড়াতে থাকে।
উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা শুরু করেছে অভিযোগ করে এক আন্দোলকারী জানান, দুপুর থেকেই পুলিশ আমাদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কোনোরকম উস্কানি ছাড়াই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ আলমগীর কবির বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে হল না ছাড়লে আমরা কোনো দায় নেব না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমার পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।