জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর পল্লবীতে মিথ্যা অভিযোগে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেলেন এক যুবক। আব্দুল জলিল নামে ওই যুবক মাথায় ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় থানায় গিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় পল্লবী থানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে শনিবার পল্লবী থানার ওসি তার ফেসবুকে ওই যুবকের ভিডিও পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো
ওরে বাটপার রে !!!
পল্লবী থানায় এসেছিল মামলা করতে।
অভিযোগ- দুইজন গত রাতে সাড়ে ১০টায় মারপিট করে ২৭০০ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এসআই সজিব খানকে দায়িত্ব দেওয়া হল ছিনতাইকারীদের ধরার জন্য। এসআই সজিব সারাদিন পরিশ্রম করে দুইজনকে ধরেও নিয়ে আসল। জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে হিসাব মিলছিল না। বাকিটা ইতিহাস হয়ে থাকল।
সূত্র জানায়, আব্দুল জলিল নামে ওই ব্যক্তি শুক্রবার সকালে পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ২২ তারিখ বৃহস্পতিবার বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় তার ২৭০০ টাকা ছিনতাই করে অজ্ঞাত ২ ব্যক্তি। অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় পল্লবী থানার এসআই সজিব খানকে। একই দিন ২ জন ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে আনেন এস আই সজিব। শুক্রবার রাতে অভিযোগকারী জলিলকে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলামের কক্ষে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় অভিযোগকারী জলিলের মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো ছিল। তার কথাবার্তার ধরন অস্বাভাবিক ও অসংলগ্ন মনে হলে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসআই সজিব অভিযোগকারীর মাথার ব্যান্ডেজ খুলে ফেলেন। ব্যান্ডেজ খুলে উপস্থিত সবাই হকচকিয়ে যান।
চারদিকে হাসির রোল পড়ে। তার মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ব্যান্ডেজে রং মাখানো ছিল। সঙ্গে সঙ্গে জলিলের প্রতারণা প্রকাশ পায়। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে জলিল নিজেই ফেঁসে যান।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, জলিল প্রতরণা করে ধরা পড়েছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। তাকে পেন্ডিং মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।