নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বে সবাই আগে থেকেই আট-ঘাট বেধেই বসে ছিল এ পর্বটি উপভোগ করার জন্য। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতা বলে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানেই হচ্ছে বাড়তি কিছু।
পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী হালকা গোলাপী রঙ্গের আভা ছড়িয়ে মঞ্চে উঠেন অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা যীনাত রহমান। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। যীনাত মঞ্চে এসেই অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যসহ অতিথির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল আলম আইয়ুব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমানসহ ফ্যামেলী ডে আয়োজক সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী নিয়ে যীনাত বলেন, সেদিন ঘাতকের গুলি জাতির পিতা বুকবিদ্ধ না হলে আর তিনি আজ বেঁেচ থাকলে তার বয়স হতো ৯৯ বছর। আর মার্চে তা পৌঁছত একশতে। উপস্থাপিকা যখন জাতির পিতাকে নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন তখন পুরো মেঘবাড়ী রিসোর্ট ছিল পিন পতন নিরবতা।
এ দেশের জন্য স্বাাধীনতা ছিনিয়ে আনতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শুরুতে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সকল সদস্যদের অংশগ্রহনে পরিবেশিত হয় একটি দেশাত্ববোধক গান (ধন্য-ধান্ন্যে পুষ্পে ভরা, আমাদেরই বসুন্ধরা’)। গানের সাথে সাথে সামনে শত শত দর্শক দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। শিল্পী-দর্শকদের ডান হাতটি তখন বুকের বাম পাশে হৃতপিন্ডের উপর।
এর পরই গায়ক অনুপ দে গেয়ে শোনান শ্রাবণের মেঘগুলো, জরো হলো আকাশে। উপস্থাপিকার ঘোষণা গান গাইতে হবে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক সরকারকে। ঘোষনার পর নিজের সম্মান বাঁচাতে মাইক্রো ফোন হাতে নিয়ে গেয়ে শোনান এলআরবি’র কালজয়ী গান ‘চল বদলে যাই’। গানের আগে প্রয়াত ব্যান্ড গুরু আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। আর রফিক সরকার শুধু গানই গাননি সেই সাথে আদায় করে নিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শত শত দর্শকদের তালি। তার গান শোনে ভাল লেগে গেলে দর্শক সারি থেকে ভেসে আসে ওয়ান মোর, ওয়ান মোর শব্দ। এদিকে তার গান শোনে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান নগদ অর্থ দিয়ে সম্মান জানান। আর অনুষ্ঠানের দর্শক সারিতে উপস্থিত থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ তো বলেই ফেললেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক মানেই বহু গুণে গুনান্নিত।
রফিক সরকার একে একে গেয়ে শোনান জেমসের মা, চাটগায়ের বিখ্যাত গান মধু হৈই হৈই সহ মোট তিনটি গান। তার সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল মধু হৈই হৈই আর এই গানটিতে তার সাথে গাওয়ার জন্য মঞ্চে ডেকে নিলেন জুনিয়র রফিককে। মঞ্চে আসেন রাশেদ্বীন সরকার রূপন আর বাবার সাথে গেয়ে শোনান মধু হৈই হৈই গানটি।
এতক্ষন যিনি গান গাইলেন তার কোরিওগ্রাফিতে এবার মঞ্চে আসেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফুজা আফরিন মনি এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রিয়াদ হোসাইন। তারা আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে গানের সাথে পারফর্ম করে দেখান। এটি ছিল অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষনীয় পারফর্ম। আর সেটা প্রমানিত হলো উপস্থিত দর্শকের রিয়েকশান দেখে। তারা পেলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান ও স্কটল্যান্ড প্রবাসী আইয়ুব সাবের টিপুর আর্থিক সম্মাননা।
এবার মঞ্চে আসেন স্কটল্যান্ড প্রবাসী আইয়ুব সাবের টিপু। তিনি গেয়ে শোনান বকুল ফুল বকুল ফুল। পরে আরো কয়েকটি গান গেয়ে শোনান অনুপ দে। পাশাপাশি তিনি অন্য শিল্পীদের সাথে গীটারে সুর তোলেন। আর কাহনে ছিলেন উপজেলার তুমলিয়া বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৌশিক সরকার। আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সর্বক্ষণ সাপের্টি দেন সিয়াম মাইক সার্ভিস এন্ড সাউন্ড সিস্টেমের সত্ত¡াধীকারী মো. সাহিদ হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।