জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের সাতজন সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের দড়িজাহাঙ্গীরপুর দশদ্রোন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হেমন্ত দেবনাথকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য পাঁচ সদস্য তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান জানান, গতকাল রাতে চুরির মামলার আসামি হিরন মিয়াকে ধরতে দড়িজাহাঙ্গীরপুর দশদ্রোন গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় হিরন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন হিরোনকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তার পরিবারের সদস্য আউয়াল মিয়া ও রহিমা বেগম। পরে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় আউয়াল মিয়া ও রহিমা বেগমকেও আটক করা হয়। এ সময় তাদের চিৎকারে সহযোগীরা এসে পুলিশের ওপর চড়াও হন। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুলশি সদস্যরা আহত হন।
ওই ঘটনার সংবাদ পেয়ে কিশোরগঞ্জে এসপি (প্রশাসন) নাজমুল হাসান ও করিমগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মাহবুবুল আলম সজীব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ ঘটনায় এএসআই ফজলুল হক বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ছাড়াও এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আসামিদের কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।