জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি থেকে মাসহ ৪৮টি বিষাক্ত গোখরা সাপ ও বেশ কিছু ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পোষা বিড়ালের মৃত্যুর পর জায়গাটিতে থাকা ইটের স্তূপ থেকে এই সাপগুলো উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান বাড়ির লেবু গাছের পাশ থেকে সাপগুলো উদ্ধার করেন এক সাপুড়ে। পরে সেগুলো ওই সাপুড়ে নিজ জিম্মায় নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান জানান, গত দুইদিন আগে তার বাড়ির পোষা বিড়ালটিকে লেবু গাছের নিচে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গৃহকর্ত্রীর সন্দেহ হয়। পরের দিন বাড়ির গৃহকর্মী উঠান ঝাড়ু দিতে গেলে বিষাক্ত সাপের তিনটি বাচ্চা তাকে তাড়া করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রূপগঞ্জের তারাব এলাকা থেকে মোস্তফা নামে এক সাপুড়েকে ডেকে আনেন। সাপুড়ে বাড়ির লেবু গাছের পাশে থাকা ইটের স্তূপের নিচ থেকে ৫/৬ হাত লম্বা একটি মা সাপ (খইয়া পানস), ৪৭টি বাচ্চা ও বেশ কয়েকটি ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে সাপুড়ে মোস্তফা সাপগুলো তার জিম্মায় নিয়ে যান। তার বাড়ি থেকে সাপ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় সাপের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও জানান সাদেকুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গ্রামাঞ্চলে এ সাপটি ‘খইয়া গোখরা’ নামে পরিচিত। এটি দেশের সর্বত্রই দেখা যায়। সাধারণত বসতবাড়ির আশপাশে, ছোট ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত বা পুরাতন ভবন বা ইটের ফাকফোঁকরে সাপটি বাস করে। কিছুটা ধূসর বাদামী বর্ণের এই সাপটি লম্বায় প্রায় দেড় থেকে দুই মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গোখরা ব্যাঙ, ইঁদুর, গিরগিটি, ছোট পাখি ইত্যাদি সাপটির প্রধান খাদ্য। দ্রুত চলাফেরা ও সাঁতার কাটায় খুবই দক্ষ এই সাপ।
সাধারণত বর্ষাকালে (মার্চ থেকে জুলাই) একটি মা সাপ ১২ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে প্রায় ৬০ দিন সময় লাগে। এই সাপের বিষ নিউরোটক্সিন প্রকৃতির, যা দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।