জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, কেরানীগঞ্জ ও মুগদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগর এলাকায় র্যাব-১১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে নারী পাচারকারী চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, পাসপোর্টের কপি, ট্যুরিস্ট ভিসার ফটোকপি, নগদ দেড় লাখেরও বেশি টাকাসহ পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা চার তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া এই আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের আরও আটজনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলেন- ধানসিড়ি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন (৩৭), তরুণী সংগ্রহকারী এজেন্ট নোয়াখালীর শ্যামবাগ থানার বাসিন্দা মো. হৃদয় আহম্মেদ ওরফে কুদ্দুস (৩৫), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার বাসিন্দা মো. মামুন (২৪), মাদারীপুরের কালকিনি থানার বাসিন্দা মো. স্বপন হোসেন (২০), চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার বাসিন্দা মো. শিপন (২২), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার বাসিন্দা রিজভী হোসেন ওরফে অপু (২৭), পটুয়াখালীর বাউফল থানার বাসিন্দা মো. মুসা ওরফে জীবন (২৮) ও চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা শিল্পী আক্তার (২৭)।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৩৯টি পাসপোর্ট, ৬৬টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ১৮টি বিমান টিকেটের ফটোকপি, ৩৬টি ভিসার ফটোকপি, ১টি সিপিইউ, ১৯টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা দুইজন ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ধানসিড়ি ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিক শাহাবুদ্দিন তার নিয়োগকৃত বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে ১৫-২৫ বছর বয়সী সুন্দরী নারীদের সংগ্রহ করতেন। এ সকল নারীদের বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ডান্সবারে পাচার করতেন। শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ডান্সবারের মালিকদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যান্য আসামিরা শাহাবুদ্দিনের হয়ে পাচারের জন্য নারী সংগ্রহ করতেন।
তিনি আরও জানান, এই চক্রের মাধ্যমে বিগত দুই বছরে সহস্রাধিক তরুণী মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।